হোম

বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা, ২ শ্যুটার শনাক্ত

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ রাজধানীর মধ্যবাড্ডায় রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত হলেন বিএনপি নেতা কামরুল আহসান সাধন। রোববার (২৫ মে) রাতে মধ্যবাড্ডার গুদারাঘাট ৪ নম্বর রোডে প্রকাশ্যে গুলি করে তাকে হত্যা করে দুজন অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্ত। সোমবার সকালে নিহতের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হলেও পুলিশ প্রাথমিকভাবে দুইজন শ্যুটারকে শনাক্ত করেছে।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, “ঘটনাস্থলের আশপাশের একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ফুটেজে দেখা গেছে, গুদারাঘাট ৪ নম্বর রোডে হেঁটে এসে দুই ব্যক্তি কামরুল আহসান সাধনকে খুব কাছ থেকে গুলি করে চলে যায়।” তাদের মুখে মাস্ক থাকলেও ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে দুইজনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। এখন তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ঘটনার সময় কামরুল আহসান রাজনৈতিক কর্মসূচি শেষে একটি চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এটি ছিল সাবেক কমিশনার কাইয়ুমের কার্যালয়ের বিপরীত পাশে। হঠাৎ পেছন থেকে এসে দুই যুবক তার ওপর গুলি চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, কামরুল গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং বেশ কিছু সময় রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই পড়ে থাকেন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত কামরুল আহসান সাধনের বাড়ি মধ্যবাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায়। পেশায় তিনি ডিশ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘটনাটিকে পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন।

পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক বিরোধ, ব্যক্তিগত শত্রুতা কিংবা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব—সব দিক বিবেচনায় তদন্ত চলছে। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন।

মতামত দিন