পুলিশি হামলার প্রতিবাদে রাজপথে জবি শিক্ষকরা
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ছাত্র আন্দোলন আরও জোরালো রূপ নিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবির প্রতি একাত্মতা জানিয়ে এবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও সরব হয়েছে। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন ঘোষণা দিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাস পুরোপুরি শাটডাউন থাকবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলে চলমান কর্মসূচিতে তিনি এই ঘোষণা দেন।অধ্যাপক রইস উদ্দিন বলেন, “আমরা কোনো ষড়যন্ত্র করতে আসিনি। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছি।” তিনি বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর পুলিশি হামলা শুধু অমানবিকই নয়, এটি এক ধরনের প্রশাসনিক বর্বরতা।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কেউ যদি শিক্ষার্থীদের চোখের সামনে হামলা করে, তা সহ্য করা হবে না।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। আন্দোলনের মূল চারটি দাবি হলো—পরবর্তী অর্থবছর থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি চালু, প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট বাস্তবায়ন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের অনুমোদন এবং ১৪ মে পুলিশের হামলার বিচার।
বুধবার সকাল থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে লং মার্চ শুরু করেন। গুলিস্তান, মৎস্য ভবন হয়ে কাকরাইল পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশ টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, গরম পানি ও লাঠিচার্জের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক মানুষ আহত হন।
আন্দোলনকারীদের অনেকেই এখনও রাস্তায় অবস্থান করছেন। দীর্ঘ সময় রাস্তায় অবস্থান, ক্লান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মধ্যেও কেউ আন্দোলন থেকে সরেননি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আন্দোলন এখন আর শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, বরং এটি দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ছাত্র-শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রতিবাদের রূপ নিয়েছে।
মতামত দিন