হোম

ঢাকায় করোনা উদ্বেগ, স্বাস্থ্যবিধিতে ফের সতর্কতা

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে, যা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০১টি নমুনা পরীক্ষায় ১৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের সবাই ঢাকা মহানগরীর বাসিন্দা। যদিও কারও মৃত্যু হয়নি, তবে এই সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি সতর্কবার্তা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

এই প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রাথমিকভাবে দেশের কিছু নির্দিষ্ট হাসপাতালে সীমিত পরিসরে করোনা পরীক্ষা পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধুমাত্র যেসব হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাব রয়েছে, সেগুলোতেই এই পরীক্ষা চালু হবে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোকে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উৎস থেকে টেস্ট কিট সংগ্রহের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক হালিমুর রশীদ জানান, “পরীক্ষা প্রথমে সীমিতভাবে শুরু হবে, তবে সংক্রমণের হার বাড়লে তা ধীরে ধীরে বিস্তৃত করা হবে।”

পরীক্ষার জন্য প্রাথমিকভাবে করোনা উপসর্গ থাকা ব্যক্তিরাই অগ্রাধিকার পাবেন। শরীরে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে গিয়ে করোনা পরীক্ষা করানো যাবে। চিকিৎসকের পরামর্শে উপসর্গবিহীন ব্যক্তিরাও পরীক্ষা করাতে পারবেন।

প্রথম পর্যায়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ পরীক্ষা চালু হবে।

সংক্রমণ বৃদ্ধির এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জনগণকে আবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া ও উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে থাকার মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

বিমানবন্দরসহ দেশের সব প্রবেশপথে স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং অব্যাহত রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, করোনার এই নতুন ঊর্ধ্বগতি অবহেলা করলে পরিস্থিতি আবার জটিল হতে পারে। তাই দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন তারা।

করোনা মোকাবেলায় এই আগাম প্রস্তুতি এবং পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা দেশের জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

মতামত দিন