হোম

গ্রিডে ত্রুটি, বিদ্যুৎহীন দেশের দক্ষিণাঞ্চল

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ পূর্বঘোষণা ছাড়াই শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলা হঠাৎ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। জাতীয় গ্রিডে কারিগরি ত্রুটির কারণে এই ‘ব্ল্যাকআউট’ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে জানা গেছে। এতে খুলনাসহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড জানিয়েছে, ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে এবং কিছু জেলায় আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু হয়েছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত খুলনাসহ অন্তত ১০টি জেলায় এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।

ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হায়দার আলী জানান, গোপালগঞ্জের আমিনবাজার এলাকায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দিলে দক্ষিণাঞ্চলে বড় পরিসরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়। তিনি বলেন, “আমরা দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধার হচ্ছে।”

ওজোপাডিকোর এনার্জি, সিস্টেম কন্ট্রোল অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. রোকনউজ্জামান বলেন, “২১টি জেলাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আজকের জাতীয় গ্রিড সমস্যার প্রভাবে প্রতিটি জেলাতেই বিদ্যুৎ বিতরণে কমবেশি বিঘ্ন ঘটেছে।”

বিদ্যুৎ সঞ্চালনকারী সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাদের মতে, এটি মূলত একটি কারিগরি ত্রুটির ফল। পিজিসিবির দুজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, জাতীয় গ্রিড বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর একযোগে দেশের বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যায়, যার মধ্যে পায়রা ও রামপালের মতো কেন্দ্রগুলোও রয়েছে।

পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল মোনায়েম চৌধুরী বলেন, “প্রায় ২০ মিনিট পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। এরপর ধাপে ধাপে গ্রিড চালু করে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় শুরু করা হয়েছে।” তিনি জানান, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র ইতোমধ্যে চালু হয়েছে এবং অন্যান্য কেন্দ্রও পর্যায়ক্রমে চালু হচ্ছে।

এ হঠাৎ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের বহু এলাকায় পানির সংকট, মোবাইল নেটওয়ার্কে সমস্যা, হাসপাতালের কার্যক্রমে বিঘ্ন এবং ব্যবসায়িক ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

মতামত দিন