স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের অপ্রতিরোধ্য প্রতীক খালেদা জিয়া
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবন বাংলাদেশের জন্য এক অনন্য অধ্যায়। দিনাজপুরের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া এই নারী গৃহবধূ থেকে দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং আপসহীন নেতা হিসেবে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন।১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের হত্যার পর তিনি রাজনৈতিক জীবনের দিকে এগিয়ে আসেন। বিএনপির নেতারা তাকে রাজনীতিতে নামানোর জন্য দিনরাত চেষ্টা চালায়। ১৯৮২ সালের ১৩ জানুয়ারি কর্মী হিসেবে রাজনীতিতে নাম লেখান। একই বছরের ৭ নভেম্বর জিয়ার সমাধিস্থলে প্রথম ভাষণ দেন।
এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় হওয়ার ফলে ১৯৮৪ সালে বিএনপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হন। পরবর্তী মেয়াদগুলোতে তিনি দেশের রাজনীতিতে বিশেষ প্রভাব তৈরি করেন।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে তার রাজনৈতিক অধিকার রুদ্ধ করা হয়। ২০১০ সালে জোরপূর্বক সেনানিবাস থেকে বের করে দেওয়া, মিথ্যা মামলা, বিচার ব্যবস্থার অপব্যবহার—সবই তাকে বিরূপ পরিস্থিতির সম্মুখীন করে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারা, বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন—সবই তাকে রাজনৈতিক ও শারীরিকভাবে চাপে ফেলে।
২০২০ সালে করোনার প্রভাবে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান। ‘ফিরোজা’ বাসায় বন্দী অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া হয়। ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর দেশের গণঅভ্যুত্থানে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য যান। চার মাসের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আসেন।
খালেদা জিয়ার জীবনশৈলী এবং রাজনৈতিক সাহস দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক অম্লান চিহ্ন হিসেবে রয়ে গেছে। তার নেতৃত্বের গল্প বাংলাদেশি নারীর ক্ষমতায়ন, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে চিরকাল স্মরণীয় থাকবে।
মতামত দিন