রাজনীতি

সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অন্ধকারে দেশ, অভিযোগ তারেকের

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সরকারের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে এবং ফ্যাসিবাদী শক্তির উত্থানের পথ প্রশস্ত করছে। বুধবার ঢাকার আশুলিয়ায় 'নারকীয় আশুলিয়া স্মরণে' ভার্চ্যুয়াল সমাবেশে যুক্ত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান অভিযোগ করেন, আশুলিয়ায় যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল, তা কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদে এই নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে এবং এর দায় বর্তায় সরকারের উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের ওপর। তিনি বলেন, “এই হামলার মাধ্যমে শুধু মানুষকে হত্যা করা হয়নি, বরং লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে যাতে কোনো প্রমাণ না থাকে।”

তারেক রহমান আশুলিয়া গণহত্যাকে জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “এই বর্বরতা কারবালার ঘটনাকেও হার মানিয়েছে।” তিনি দাবি করেন, ৫ আগস্ট ছিল সরকার পতনের চূড়ান্ত সময়। এই মুহূর্তেই শ্রমজীবী জনগণের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শ্রমজীবী জনগণ সরকারের কোনো সুযোগ-সুবিধার প্রত্যাশায় নয়, বরং ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিল। এই আন্দোলন ছিল একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ যা দেশের মানুষকে গণতন্ত্র রক্ষার সংকল্পে ঐক্যবদ্ধ করেছিল।

তারেক রহমান বলেন, “রাষ্ট্রক্ষমতায় যখন গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি থাকে, তখন সাধারণ মানুষের অধিকার হরণ হয়। এই উপলব্ধি থেকেই শ্রমজীবী মানুষ রাস্তায় নেমেছিল, আর তাদের আত্মত্যাগ জাতি আজও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে।”

তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যদি সরকার এখনো শিক্ষা না নেয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। জনগণের ধৈর্য চ্যুতি ঘটবে এবং গণআন্দোলন আরও বেগবান হবে।”

এই সমাবেশে তার বক্তব্য দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতার ওপর এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা তুলে ধরেছে। গণতন্ত্র, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিয়ে তারেক রহমানের ভাষণ আবারও স্পষ্ট করলো যে—আন্দোলনের মূল শক্তি জনগণই।

মতামত দিন