রাজনীতি

বিনিয়োগ কমছে, নির্বাচিত সরকার জরুরি: খসরু

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় সরকার ও কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠীর প্রতি তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। মঙ্গলবার প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এ সভায় তিনি বলেন, "যারা শেখ হাসিনার ভয়ে গর্তে লুকিয়ে ছিল, তারাই আজ আমাদের সংস্কারের তালিম দিচ্ছে। এদের বেশিরভাগেরই আন্দোলন-সংগ্রামে কোনো ভূমিকা নেই।"

আলোচনায় আমীর খসরু বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, "আমরা হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য একটি কাঠামোগত প্রস্তাবনা দিয়েছি, যা আমরা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।" তিনি জানান, প্রস্তাবনাগুলোতে জাতীয় ঐক্যমত্যের বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হয়েছে।

বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, "বর্তমান সরকারের আমলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। প্রকৃত নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে না।" তিনি আরও বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চান, যা বর্তমানে অনুপস্থিত।

মানবিক করিডোর ইস্যুতে কড়া অবস্থান জানিয়ে খসরু বলেন, "এ নিয়ে কার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে? আমরা কি বাংলাদেশকে আরেকটি গাজা বানাতে চাই? এর পেছনে কারা, কোন স্বার্থ কাজ করছে তা জাতিকে জানাতে হবে।"

সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল। বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনসহ বিভিন্ন দলের নেতারা। তাঁরা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, এবং ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপরেখা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।

আমীর খসরু দলের ভিশন ২০৩০-এর প্রসঙ্গ তুলে বলেন, "এই ভিশনের মাধ্যমেই একটি অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের রূপরেখা আমরা উপস্থাপন করেছি।" তিনি বলেন, "সংস্কার জনগণের সমর্থনের মাধ্যমেই হতে হবে, দলীয় স্বার্থে নয়।"

সভায় বক্তারা সরকারের নানা নীতির কঠোর সমালোচনা করেন এবং বিকল্প রাজনৈতিক ভাবনার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

মতামত দিন