রাজনীতি

পুতুলের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের গ্রেফতারি পরোয়ানা

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ প্লট বরাদ্দ দুর্নীতির মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৭ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, সায়মা ওয়াজেদ বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তার বিরুদ্ধে জারি করা পূর্ববর্তী গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। এজন্য ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে ১০ এপ্রিল একই মামলায় শেখ হাসিনা এবং সায়মা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত। পরবর্তীতে ১৩ এপ্রিল পৃথক তিনটি মামলায় শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, শেখ হাসিনার বোনপো আজমিনা সিদ্দিকসহ মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

দুদক সূত্র জানায়, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে কমিশন। অনুসন্ধানে উঠে আসে, তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে আত্মীয়-স্বজনদের নামে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন। এতে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে কয়েকশ কোটি টাকা।

এ অনুসন্ধানের ভিত্তিতে দুদক ছয়টি মামলা দায়ের করে, যার মধ্যে একটি মামলায় সায়মা ওয়াজেদের নাম রয়েছে। মামলাগুলোতে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রভাব খাটিয়ে সরকারি সম্পদ ব্যক্তি মালিকানায় নেয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে। এতে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ ও জনস্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মামলাগুলো এখনো তদন্তাধীন ও বিচারাধীন রয়েছে। তবে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় আন্তর্জাতিক পর্যায়েও মামলাগুলোর গুরুত্ব বেড়েছে। সায়মা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনার উদ্যোগ নিতে পারে সরকার ও দুদক।

মতামত দিন