ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বহাল
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে বলে পুনরায় ঘোষণা দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি এই ঘোষণা দেন।তিনি জানান, গত বছরের ১৭ জুলাই হলে হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল, তা বহাল থাকবে। এই নীতিমালার অধীনে প্রতিটি হল প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পাশাপাশি ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটি নিয়ে সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাসও দেন উপাচার্য।
তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে হলে পলিটিক্সের সম্পূর্ণ অবসান দাবি করেন। তারা ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করেন, যার মধ্যে রয়েছে— কেন নতুন কমিটি দেওয়া হয়েছে তার ব্যাখ্যা, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রদল, শিবির, বাগছাস, বামসহ সকল গুপ্ত কমিটি বিলুপ্ত, হল একাডেমিক এলাকায় রাজনীতি নিষিদ্ধের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব হল কমিটি বাতিল, হল প্রভোস্টদের ক্ষমা প্রার্থনা এবং দ্রুত ডাকসু বাস্তবায়ন।
এর আগে ছাত্রদলের হল ইউনিট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুপুর থেকেই ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এই কমিটি ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা বিকেল থেকেই বিক্ষোভ শুরু করেন। রাত বাড়ার সাথে সাথে এই বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করে এবং রাত ১২টার পর বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন।
পরে তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং সেখানে ব্যাপক হট্টগোল হয়। একপর্যায়ে উপাচার্যের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে যে, ২০২৪ সালের ১৭ জুলাইয়ের ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী প্রকাশ্য ও গুপ্ত— উভয় ধরনের হল রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে।
মতামত দিন