রাজনীতি

গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষেই চীন : মির্জা ফখরুল

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চীন বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায় এবং সে জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রতি বিএনপির একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল চীন সফর শেষে দেশে ফেরে। সেই সফরের পরিপ্রেক্ষিতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মির্জা ফখরুল জানান, গত ২২ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে বিএনপির একটি ৯ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দল বেইজিং সফর করে। এই সফরে চীনের উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, চীন মনে করে একটি গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও গভীর হবে। চীন শুধু রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিতেও বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আগ্রহী। তিনি আরও বলেন, "তারা বিশ্বাস করে, প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক থাকাই উচিত, এবং সেই চেষ্টায় তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"

তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব জানান, বিএনপি এই প্রকল্পে চীনের সহযোগিতা চায় এবং এই বিষয়ে তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চীনের ইতিবাচক ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।

চীন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা ও স্থিতিশীলতা দেখতে চায়—এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, "তারা মনে করে জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সরকার থাকলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও কার্যকর হবে। বিএনপি চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করতে চায়।"

প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, জহির উদ্দিন স্বপন, অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল ও চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সফরের মাধ্যমে চীনের সঙ্গে বিএনপির রাজনৈতিক যোগাযোগ আরও মজবুত হয়েছে। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মতামত দিন