আজহারের মুক্তিতে ‘আদর্শের বিজয়’ বলছে জামায়াত
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের অবস্থান ও বক্তব্য ফের জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। সদ্য কারামুক্ত এটিএম আজহারুল ইসলামের সংবর্ধনা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দলীয় আমির ডা. শফিকুর রহমানের ভাষণে রাজনৈতিক ঐক্যের গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা উঠে এসেছে।বুধবার সকালে এটিএম আজহারুল ইসলাম কারাগার থেকে মুক্তি পান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দলীয় নেতাকর্মীরা। তাকে ‘মজলুম নেতা’ হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়। এ সময় একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “১৮ কোটি মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। এতে কোনো একক ব্যক্তি বা দলের কৃতিত্ব নেই, এটি জনগণের বিজয়।” তিনি বলেন, “এই ঐক্যই ভবিষ্যতে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলার প্রধান শক্তি হবে।”
তিনি এটিএম আজহারুল ইসলামের ধৈর্য ও দলীয় আদর্শে অবিচলতা তুলে ধরে বলেন, “দীর্ঘদিন কারাগারে থেকেও তিনি আদর্শচ্যুত হননি। তার মতো নেতার ধৈর্য ও সংগ্রাম আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়।”
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ, মো. তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ এবং ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। কেন্দ্রীয় এবং মহানগর পর্যায়ের বহু নেতাকর্মীও সেখানে যোগ দেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “বর্তমানে জাতিকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ প্রতিরোধে রাজনৈতিক ঐক্য অপরিহার্য।” তিনি দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বার্থে ঐক্যের আহ্বান জানান।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগ, নিষ্ঠা এবং জনগণের আস্থা অর্জনের ওপর গুরুত্ব দেন। বলেন, “মানুষের আস্থা ছাড়া কোনো দল টিকতে পারে না। আমাদের ঐক্য, ত্যাগ আর আদর্শই ভবিষ্যতের পথ রচনার শক্তি।”
তার ভাষণে উঠে আসে একটি আশাবাদের বার্তা—“আমরা যদি জাতির স্বার্থে এক থাকি, তাহলে যেকোনো ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে এবং বাংলাদেশ একটি সম্মানজনক, উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।”
মতামত দিন