আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে স্তব্ধ শাহবাগ, তীব্র যানজট
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীর ব্যস্ততম শাহবাগ মোড়ে হঠাৎ করে রাজনৈতিক অবরোধের মুখে পড়ে জনজীবন। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে এ কর্মসূচি শুরু হয় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে। এ কর্মসূচির কারণে শাহবাগ থেকে শুরু করে সায়েন্সল্যাব, টিএসসি, বাংলামোটরসহ আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় এবং সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শত শত আন্দোলনকারী শাহবাগ মোড়ে জড়ো হন। তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান নেন এবং সড়কের মাঝখানে বসে পড়ে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেন। এতে জরুরি প্রয়োজনে থাকা মানুষজনসহ সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালিদ মনসুর জানান, আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিচ্ছেন এবং এখন পর্যন্ত কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। তবে সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে শাহবাগের অবরোধের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের এলাকাগুলোতেও। নিউমার্কেট, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও বাংলামোটরেও যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। অনেক পথচারী বিকল্প সড়ক ব্যবহার করেও যানজট এড়িয়ে চলতে পারেননি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের আকস্মিক অবরোধ শুধু জনদুর্ভোগই সৃষ্টি করে না, বরং রাজধানীর নিরাপত্তা পরিস্থিতিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে। একইসঙ্গে এটি সরকারবিরোধী শক্তির সংগঠিত ও সাহসী অবস্থানকেও তুলে ধরে।
এর আগে এনসিপি পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাবে। তাদের এমন ঘোষণার পর থেকেই শহরের বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা এখনো শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করছেন। যদিও পুলিশের কঠোর নজরদারিতে পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবু নগরবাসীর মনে রয়ে গেছে গভীর আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা। আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ কী হবে, তা নিয়ে এখন চলছে জোর আলোচনা।
মতামত দিন