রাজনীতি

আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে সময়ক্ষেপণ করছে সরকার

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজধানীর ফার্মগেট খামারবাড়ির বার্ক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত "ইস্টার পুনর্মিলনী ও শুভেচ্ছা বিনিময়" অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার একদিকে দেশে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যে ফাটল ধরাতে চায়, অন্যদিকে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পাঁয়তারা করছে।

তারেক রহমান বলেন, “সংস্কারের নামে সরকার সময়ক্ষেপণ করে জনগণের আস্থাহীনতা তৈরি করছে। এটি গণতন্ত্র ও নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক।” তিনি স্পষ্ট করে দেন, বিএনপি এখনো অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত রেখেছে, তবে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কারণে সংশয় বাড়ছে।

তিনি গুম হওয়া বিএনপি নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনের বাসায় পুলিশি অভিযান এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের প্রসঙ্গ তুলে প্রশ্ন করেন, “যদি সরকার জানত না, তাহলে কীভাবে সাবেক রাষ্ট্রপতি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন?” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি সরকারের জবাবদিহিতার অভাব এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতাকে সামনে আনেন।

তারেক রহমান আরও বলেন, “সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু—সব নাগরিকের নিরাপত্তা নির্ভর করে আইন ও গণতন্ত্রের উপর। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন না থাকলে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অসম্ভব।” তিনি বর্তমান পরিস্থিতিকে স্বৈরাচারী সময়ের পুনরাবৃত্তির মতো বলেও মন্তব্য করেন।

স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সংবিধানের পূর্ণ অনুসরণ জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সরকার যে সময়োপযোগী সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব পেয়েছে, বিএনপি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাবে।”

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ খ্রিস্টান ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জন গমেজ, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক মানুষ এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

তারেক রহমানের এই বক্তব্য দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যা বর্তমান ক্ষমতা কাঠামো ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।

মতামত দিন