অনুমতি ছাড়াই কক্সবাজার সফর, এনসিপির শীর্ষ নেতাদের কারণ দর্শানো নোটিশ
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পাঁচ শীর্ষ নেতার কক্সবাজার সফর ঘিরে দলীয় মহলে দেখা দিয়েছে বিতর্ক ও অসন্তোষ। রাজনৈতিক পর্ষদের অনুমতি না নিয়ে ব্যক্তিগত সফরে কক্সবাজার যাওয়ায় দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে।বুধবার (৬ আগস্ট) এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে এই পাঁচ নেতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে নাম উল্লেখ করা পাঁচ নেতা হলেন: মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা এবং যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।
নোটিশে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট “জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের” মতো একটি দলীয় গুরুত্বপূর্ণ দিনে তারা রাজনৈতিক পর্ষদের পূর্বানুমতি ছাড়াই কক্সবাজার সফর করেন। এ সফর সম্পর্কে দলীয় নীতিনির্ধারণী মহল পূর্বে অবগত ছিল না। সফরের দিন তারা বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৪৩৩ ফ্লাইটে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান বলে জানা যায়।
এ সফরকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন ওঠে—এই নেতারা নাকি সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে কক্সবাজারের একটি হোটেলে বৈঠক করেছেন। যদিও এনসিপির একাধিক সদস্য এ দাবিকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে সফরটিকে “সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত” বলে দাবি করেছেন।
ঘটনাস্থলে অবস্থান করা স্থানীয় বিএনপি নেতারা হোটেল সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে এবং এনসিপি নেতাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
দলের অভ্যন্তরে এ ঘটনাকে শৃঙ্খলা ভঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এনসিপি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত নেতাদের ব্যাখ্যা পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজনৈতিক পর্ষদ।
দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের কাছে নেতাদের সশরীরে হাজির হয়ে সফরের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ব্যক্তিগতভাবে এমন সফর দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যে চিড় ধরাতে পারে বলেও মনে করছেন এনসিপির অভ্যন্তরীণ পর্যবেক্ষকরা। এ কারণে দল কঠোর বার্তা দিতে চায় যে, শৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো ব্যত্যয় মেনে নেওয়া হবে না।
মতামত দিন