শুল্কের বোঝায় আমদানিকারকদের গুদামে আটকে ভারতীয় চাল
হিলি
প্রতিনিধি ॥ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও চাল আমদানি শুরু হলেও তা
খালাস করতে পারছেন না আমদানিকারকরা। শুল্ক নিয়ে জটিলতার কারণে বন্দরে জমে
আছে হাজার টন চাল। গত ১২ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত তিন দিনে ভারত থেকে
প্রায় ২ হাজার ৭১৯ মেট্রিকটন চাল আমদানি হলেও এখনো ছাড়করণ হয়নি।
বন্দরে প্রবেশ করা চাল ছাড়াও সীমান্তের ওপারে আরও ২০০ থেকে ২৫০টি ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে। আমদানিকারকদের দাবি, খাদ্যমন্ত্রলয়ের অনুমতি পাওয়ার পর তারা চাল এনেছেন, কিন্তু বর্তমান শুল্কহার দিয়ে খালাস করা সম্ভব নয়। তারা বলেন, "যদি ৬৩ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়, তবে পরিবহনসহ সব খরচ যোগ হয়ে প্রতি কেজি চালের দাম দাঁড়াবে প্রায় ৯০ টাকা। এতে বাজারে চালের দাম আরও বেড়ে যাবে, যা সাধারণ মানুষের জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।"
আমদানিকারকরা মনে করছেন, গত বছরের মতো যদি মাত্র ২ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়, তবে তারা খালাস করতে পারবেন এবং দেশের বাজারে চালের সংকট বা মূল্যবৃদ্ধির শঙ্কা থাকবে না।
হিলি শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন, শুল্ক নির্ধারণের পরও এখন পর্যন্ত কেউ চাল ছাড়করণ করেননি। তবে যেকোনো আমদানিকারক চাইলে ৬৩ দশমিক ২৫ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করে খালাস নিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে চাল আমদানি শুরু হয়েছিলো, তবে তা ২০২৫ সালের ১৫ এপ্রিল বন্ধ হয়ে যায়। নতুন করে চাল আমদানি শুরু হলেও শুল্ক জটিলতায় কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে এ কার্যক্রম। এর ফলে ব্যবসায়ী ও ভোক্তা উভয়ের মধ্যেই অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
মতামত দিন