ভিডিও পোস্টের ঘণ্টাখানেক পরেই সাংবাদিককে নির্মম হত্যা
গাজীপুর প্রতিনিধি ॥ প্রকাশ্যে সাংবাদিক হত্যা—গাজীপুরবাসী অবাক, আতঙ্কিত এবং ক্ষুব্ধ। রাতের ব্যস্ত সময়ে মহানগরীর কেন্দ্রস্থলে এমন ঘটনা একদিকে যেমন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রশ্ন তোলে, তেমনি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ সৃষ্টি করে।গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তার মসজিদ মার্কেট এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করা হয়। ঘটনার সময় তিনি একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন।
তুহিন পেশাগতভাবে ছিলেন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি। কয়েক ঘণ্টা আগেই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফুটপাত ও চাঁদাবাজি সংক্রান্ত একটি ফেসবুক লাইভ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ বিষয়টি কারও স্বার্থে আঘাত হানায় তাকে টার্গেট করা হয়।
এ ঘটনা শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয়, এটি একটি ভয়ঙ্কর বার্তা বহন করে। একজন সাংবাদিককে প্রকাশ্যে হত্যা করে তার কণ্ঠ থামিয়ে দেওয়া হলো।
বাসন থানার ওসি শাহীন খান বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি ছিল দ্রুত। হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে আমরা সবদিক খতিয়ে দেখছি। অপরাধীরা শিগগিরই শনাক্ত হবে।”
সাংবাদিক সমাজ জানিয়েছে, তারা হত্যার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করবে। পাশাপাশি তুহিনের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানানো হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ড যে শুধু একজন ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে নয়, এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত—এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।
মতামত দিন