জেলার খবর

ভিডিও করায় সাংবাদিককে হত্যা, চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন— ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপী বেগম, স্বাধীন, আল আমিন, সুমন, মো. ফয়সাল হাসান ও মো. শাহ জালাল।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপকমিশনার রবিউল হাসান জানান, ফয়সালসহ তিনজনকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে, আল আমিনকে রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকা থেকে এবং স্বাধীনকে হোতাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানা থেকে বাকি দুই আসামিকে ধরা হয়।

র‌্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মামুন খান চিশতী জানান, হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত হয় এক নারী সদস্যকে কেন্দ্র করে বাদশাহ নামের ব্যক্তির সঙ্গে বিরোধের জেরে। তুহিন ঘটনাটি ভিডিও করছিলেন, যা দেখে চক্রের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর হামলা চালায়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ এবং গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জবানবন্দিতে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

এই হত্যাকাণ্ড সাংবাদিক নিরাপত্তা ও পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ঝুঁকি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। গাজীপুরের স্থানীয় সাংবাদিক মহল হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করেছে।

মতামত দিন