নোয়াখালীতে অটোচালক হত্যার চারদিন পর রহস্য উদ্ঘাটন, গ্রেপ্তার ২
নোয়াখালী প্রতিনিধি ॥ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে অটোরিকশা চালক রফিকুল ইসলাম হত্যার চার দিন পর রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ও র্যাব। কোমল পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গ্রেপ্তাররা হলেন সুবর্ণচরের চর মহিউদ্দিন গ্রামের মনির হোসেন (৩৭) ও একই এলাকার লিটন (২৬)। শনিবার রাতে তাদের কোম্পানীগঞ্জ ও সুবর্ণচরের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীম মিয়া জানান, মূলহোতা মনির ভিকটিম রফিকুল ইসলামের পুরনো পরিচিত। তারা প্রায়ই আড্ডা দিতেন। হত্যার দিন রাতে মনির কোমল পানীয়তে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে রফিকুলকে খাইয়ে ফেলে। পরে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের সময় লিটনের সহযোগিতায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
পরদিন সুবর্ণচরের নুর ইসলাম মিয়ার বাড়ির পাশে রফিকুলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। মরদেহের গলায় দড়ির দাগ ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
ওসি বলেন, আসামিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা ও হত্যায় ব্যবহৃত গামছা উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে শুরুতে তিনজনকে আটক করা হলেও রিপন নামে এক তরুণকে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হবে। অপর দুইজনকে আদালতে প্রেরণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নিহত রফিকুল ইসলাম মূলত বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার বাসিন্দা হলেও দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে নোয়াখালীতে বসবাস করছিলেন। তিনি সম্প্রতি নতুন অটোরিকশা কিনে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেছিলেন।
মতামত দিন