নারী কৃষক বিপাশা গাইনের জাদু, নজরকাড়া ফলন তরমুজের
খুলনা প্রতিনিধি ॥ ডুমুরিয়ায় তরমুজের চাষ এবার নজরকাড়া ফলন দিয়েছে। খরা ও মাটির সমস্যা না থাকার কারণে এবছর চাষিরা প্রচুর পরিমাণ তরমুজ উৎপাদন করতে পেরেছেন। কৃষকরা জানিয়েছেন, রোগ বা পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ফলন গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ডুমুরিয়ার ১২,২৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এ বছর মোট উৎপাদন ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৬ মেট্রিক টন। শোভনা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রিমা মন্ডল বলেন, “আমরা কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি। তারা যত্নসহকারে পরিচর্যা করেছেন, ফলন ভালো হয়েছে।”
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, বাজারদর ভালো থাকলে খরচ বাদ দিয়ে লাভবান হওয়া সম্ভব। তরিকুল ও ফরহাদ জানান, “এবারের ফলন অতীতের চেয়ে অনেক বেশি। আশা করছি বাজারদর ভালো থাকলে লাভবান হতে পারব।” শোভনা ইউনিয়নের বিপাশা গাইন ৩৩ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করে ৭৫ হাজার টাকা খরচ করে ৩ লক্ষ টাকার বিক্রয় প্রত্যাশা করছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, “আবাদের দিক দিয়ে লক্ষ্য অতিক্রম করেছে। অল্প সময় ও খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় চাষিরা তরমুজ চাষে উৎসাহী।” কৃষি বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, তরমুজ চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে এবং ডুমুরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।
এভাবে রোগমুক্ত ও বাম্পার ফলন কৃষকদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। স্থানীয় বাজারে চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি জেলার বাইরের বাজারেও সরবরাহ হচ্ছে। ফলে ডুমুরিয়ার তরমুজ চাষ সম্প্রসারণে নতুন অধ্যায় সূচনা হয়েছে।
মতামত দিন