ঝিনাইদহে ছয় লেনের স্বপ্ন ভেঙে যাচ্ছে গর্তে ভরা মহাসড়ক !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ॥ ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক ধরে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় মহাসড়কটির অবস্থা এখন অত্যন্ত শোচনীয়। যশোরের পালবাড়ি থেকে চুড়ামনকাটি পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার সড়ক পুরোপুরি ভেঙে গেছে। ঝিনাইদহ অংশেও ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থান ভেঙে পড়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে প্রতিদিন দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চলাচল করছে। বড় যানবাহনগুলো এসব গর্তে পড়ে মাঝেমধ্যেই বিকল হয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইট বিছিয়ে দিয়েছিল, কিন্তু তা স্থায়ী সমাধান হয়নি। ফলে কয়েক দিনের মধ্যেই পুনরায় সড়কটি আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। স্থানীয়রা জানান, অন্তত এক বছর ধরে এ সড়কের অবস্থা একই রকম রয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় সড়কটিকে ছয় লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানালেও বাস্তবে জমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে কাজের অগ্রগতি নেই। প্রকল্পটি উইকেয়ার ফেজ-১-এর অধীনে তিন ভাগে ভাগ করে কাজ করার কথা থাকলেও কার্যত কিছু অংশে প্রাথমিক কাজ ছাড়া বড় কোনো অগ্রগতি নেই।
উপপ্রকল্প ব্যবস্থাপক-১ নিলন আলী জানান, বর্ষায় বিটুমিনাস সারফেস দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই বৃষ্টির মধ্যে সংস্কারকাজ সম্ভব হয়নি। যেসব স্থানে বেশি সমস্যা ছিল, সেখানে ইট বিছানো হয়েছিল। তবে এখন বৃষ্টি কমতে শুরু করেছে, অচিরেই সংস্কারকাজ শুরু হবে। তবে তিনি স্বীকার করেন, এখনো পুরোপুরি জমি অধিগ্রহণ শেষ হয়নি। এজন্য প্রকল্পে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য পরিকল্পনা কমিশনে সংশোধিত ব্যয় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এতে নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি ও জমি অধিগ্রহণের ব্যয় বৃদ্ধি যুক্ত করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে।
তবে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে কেবল সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় ধরা হলেও সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে প্রতিদিন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত সঠিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন করে কাজ এগিয়ে নেওয়া না হলে আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে।
মতামত দিন