জেলার খবর

চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুরে বন্যার ভয়াবহ দৃশ্য, অরক্ষিত নদীপাড়ে আতঙ্ক

দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ দৌলতপুর উপজেলায় পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চারটি ইউনিয়নের প্রায় ৪৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ১ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট এবং রাস্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক বিঘ্ন ঘটেছে।

পাবনা ওয়াটার হাইড্রোলজি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, পদ্মা ও মাথাভাঙা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে থাকার পরও প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করছে এবং গবাদিপশু চরম বিপদে পড়েছে। মানুষ নৌকা ও ভেলার মাধ্যমে যাতায়াত করছেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত। চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ২১টি বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে এবং এসব বিদ্যালয় এখন বন্যাকবলিতদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহায় পরিবারদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী ১৮৫ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ২০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম এবং মৎস্য কর্মকর্তা স্বপন আহমেদ সহায়তা কার্যক্রম তদারকি করেছেন।

চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, “বন্যা দীর্ঘায়িত হলে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিতে পারে। দ্রুত সহায়তা প্রয়োজন।” মরিচা ইউনিয়নের নদী পাড় অরক্ষিত হওয়ায় আশেপাশের মানুষজন আতঙ্কিত। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, প্রায় এক হাজার হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছে।

মতামত দিন