জেলার খবর

গাইবান্ধা–কুড়িগ্রামের স্বপ্নসেতুতে বিষাদের ছায়া, উদ্বোধনের পরদিনই ক্যাবল চুরি

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের মানুষের যাতায়াত সহজীকরণের স্বপ্ন নিয়ে উদ্বোধন করা হয় তিস্তা দ্বিতীয় সেতু। কিন্তু মাত্র একদিনের মাথায় ঘটে গেল হতাশাজনক ঘটনা—সেতু থেকে প্রায় ৩০০ মিটার বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরি হয়ে যায়। ফলে সন্ধ্যা নামতেই সেতু এলাকায় নেমে আসে ঘুটঘুটে অন্ধকার।

বুধবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। কিন্তু পরদিনই চুরির ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেতুর ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর চেষ্টা করা হলে আলো জ্বলেনি। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, সেতুর হরিপুর পয়েন্ট থেকে বৈদ্যুতিক তার কেটে নিয়ে গেছে চোরচক্র। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান মিলন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “চুরি হওয়া ক্যাবল ছাড়া সেতুতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব নয়।”

এ ঘটনায় স্থানীয়রা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কেউ হতাশা প্রকাশ করে লিখেছেন, “আমরা সামান্য ক্যাবলের লোভ সামলাতে পারলাম না।” আবার কেউ তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে মন্তব্য করেছেন, “অচিরেই হয়তো সেতুর রডও চুরি হয়ে যাবে।”

৯২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুটি ‘মাওলানা ভাসানী সেতু’ নামে পরিচিত। ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ ও ৯ দশমিক ৬ মিটার প্রস্থের সেতুটির লেন সংখ্যা দুটি এবং স্প্যান সংখ্যা ৩১। বাংলাদেশের সরকার, সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) ও ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওফিড) যৌথভাবে অর্থায়ন করেছে এ প্রকল্পে।

সেতুর মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত ও বাণিজ্যে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলেও উদ্বোধনের পরদিনের ক্যাবল চুরির ঘটনায় আনন্দঘন পরিবেশে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া।

মতামত দিন