কুমিল্লায় ‘দানিক’ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
কুমিল্লা প্রতিনিধি ॥ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউপি কার্যালয়ের সামনে শুক্রবার (২২ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে ভোক্তারা অভিযোগ করেছেন যে দরিদ্র নিরসন ও কর্মসংস্থানের (দানিক) পরিচালক ও কর্মকর্তারা গ্রাহকের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গেছেন।সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, “দরিদ্র গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে তাদের কোনো উদ্যোগ নেই। আমরা তাদেরকে গ্রাহকের মুখোমুখি করি, কিন্তু তারা অনুপস্থিত থেকে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অমান্য করেছে।”
গ্রাহকরা জানান, বিভিন্ন বছরে লভ্যাংশের জন্য টাকা জমা দিয়েছেন, কিন্তু পাঁচ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও মূল টাকা ফেরত পাননি। এতে ভোক্তাদের মধ্যে চরম চাপ এবং ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১০ সালে দানিকের প্রস্তাবে অনেক গ্রাহক ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে। পরে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকাণ্ডে লোকসান হওয়ায় অফিস বন্ধ করে পরিচালকরা পালিয়ে যায়।
দানিকের পরিচালক সাইফুল ইসলাম ভু্লু দাবি করেন, প্রতিষ্ঠানটি শুরুতে গ্রাহকের টাকা মৎস, পোলট্রি, ডেইরি, পরিবহন খাতে বিনিয়োগ করলেও পরবর্তীতে লস দেখা দেয় এবং কর্মকর্তা-পরিচালকরা অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যান।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাননি, অভিযোগ এলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মতামত দিন