কাউন্সিলের ফল ঘিরে উত্তপ্ত ঠাকুরগাঁও বিএনপি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ বালিয়াডাঙ্গীতে বিএনপির বহিষ্কার নাটক নতুন মোড় নিয়েছে। বহিষ্কৃত দুই নেতাকে ঘিরে আন্দোলনরত কর্মীদের অভিযোগ—কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত এসেছে তদন্ত ছাড়াই। তারা বলছেন, দীর্ঘ আট বছর পর আয়োজিত কাউন্সিলে যারা প্রকৃতভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের উপর অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বহিষ্কারের বোঝা।২৯ জুলাই বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১২ জুলাইয়ের কাউন্সিলে সহিংস ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে সৈয়দ আলম ও ড. টি এম মাহবুবুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তবে স্থানীয় নেতারা বলছেন, ওইদিন সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ আলম (ছাতা প্রতীক) ও আবু হায়াত নুরন্নবী (চেয়ার প্রতীক)। প্রথমে ছাতা প্রতীক ২ ভোটে এগিয়ে থাকলেও ফলাফল বিতর্কিত ঘোষণা করা হয়। পরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিজেই যাচাই করে সৈয়দ আলমকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। কিন্তু ফেরার পথে তার গাড়িতে হামলা হয়—যার দায় বহিষ্কৃতদের ওপর চাপানো হয়েছে।
নেতাকর্মীরা বলছেন, প্রকৃত হামলাকারীদের সনাক্ত না করে নেতাদের বহিষ্কার করে পুরো বালিয়াডাঙ্গী বিএনপিকেই বিভক্ত করা হচ্ছে। এভাবে আন্দোলনের সৈনিকদের বাদ দিয়ে বিএনপি স্থানীয়ভাবে শক্তি হারাবে।
তারা একবাক্যে বলেন, জনগণ এই দুই নেতাকেই চায়। অন্য কাউকে চাপিয়ে দিলে আন্দোলন দুর্বল হবে। তাই দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি জানান নেতারা।
মতামত দিন