কমলগঞ্জে বৈধ গ্রাহক বঞ্চিত, অবৈধ সংযোগে ব্যবসা জমজমাট
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ॥ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় একদিকে বৈধ গ্রাহকরা নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থাকলেও অন্যদিকে অবৈধ সংযোগের রমরমা ব্যবসা চলছে। স্থানীয়রা বলছেন, পল্লী বিদ্যুতের কিছু কর্মচারী এসব অবৈধ সংযোগে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।কমলগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা ফয়সল আহমদ জানান, “বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য টাকা জমা দিয়েছি অনেক দিন হলো, কিন্তু এখনো লাইন পাইনি। কর্মকর্তাদের কাছে গেলে সঠিক সময়ও জানানো হয় না।”
অন্যদিকে আলীনগর চা বাগান এলাকায় মহসিন আলী নামের এক ব্যক্তি ঝুপড়ি ঘরে সংযোগ নিয়ে সেখান থেকে বাঁশের খুঁটির মাধ্যমে মুরগির ফার্ম চালাচ্ছেন। তিনি দাবি করেন, তিনি বৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। তবে স্থানীয়রা বলছেন, এসব অবৈধ সংযোগের কারণে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
শমশেরনগর, আলীনগর, ভানুগাছসহ বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক স্থাপনায় অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার চলছে। এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।
কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, বৈধ সংযোগের জন্য টাকা জমা দিলেও দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অথচ অবৈধ সংযোগ দ্রুত দেওয়া হচ্ছে।
কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন। জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সাদেক মিয়া বলেছেন, “অবৈধ সংযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে এজিএম শহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রঞ্জন কুমার ঘোষ বলেন, “অবৈধ সংযোগকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
মতামত দিন