উলিপুর বাজারে ভোক্তা প্রতারণা, রূপচাঁদা নয় পিরানহা
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ॥ কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন। কারণ হাট-বাজারগুলোতে রূপচাঁদা মাছের আড়ালে বিক্রি হচ্ছে সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ মাছ ‘পিরানহা’। ক্রেতারা মনে করছেন তারা পুষ্টিকর রূপচাঁদা কিনছেন, অথচ প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এক ভয়ংকর মাছ।২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ সরকার পিরানহা মাছের চাষ, উৎপাদন, বংশবিস্তার ও বিপণন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কারণ এই মাছ তার রাক্ষুসে স্বভাবের কারণে জলাশয়ে থাকা অন্যান্য মাছকে আক্রমণ ও ধ্বংস করে। তবুও অসাধু ব্যবসায়ী চক্র গোপনে পিরানহা চাষ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করছে।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিক্রেতারা এই মাছ রূপচাঁদার নামে বিক্রি করছে। ক্রেতারা সস্তা দামে মাছ পেয়ে খুশি মনে কিনলেও পরে হতাশ হচ্ছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, মৎস্য বিভাগের নিয়মিত তদারকি না থাকার সুযোগেই এ ধরনের প্রতারণা চলছে।
স্থানীয় এক ক্রেতা মোছাঃ রওশন আরা বলেন, “আমরা জানতাম না যে এটা পিরানহা। দোকানদার বললো রূপচাঁদা, তাই কিনে এনেছি। পরে প্রতিবেশীরা বলে দিয়েছে এটা নিষিদ্ধ মাছ।”
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “দীর্ঘদিন পিরানহা মাছ খেলে মানুষের শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।”
উলিপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামিমা আক্তার বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
সচেতন মহলের দাবি, শুধু মৎস্য বিভাগ নয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরেরও নিয়মিত অভিযান চালানো জরুরি। তা না হলে এই নিষিদ্ধ মাছের মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ দুইই মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
মতামত দিন