আগাম রূপবান-হাবিল শিমে ভরে উঠছে হরিণাকুণ্ডুর মাঠ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ॥ শীত মৌসুমে বাজারে প্রচুর শিম পাওয়া গেলেও আগাম জাতের কারণে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর কৃষকেরা এবার ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। বাজারে ওঠার আগেই ‘রূপবান’ (বারি-২) ও ‘হাবিল’ (বারি-৩) জাতের শিম ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।উপজেলার দৈনিক বাজারে সবজি ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলাম জানান, মৌসুমের আগেই শিম বিক্রি হওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে আগ্রহ বেশি। বর্তমানে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, যা কৃষকদের জন্য বড় লাভের সুযোগ তৈরি করেছে।
হরিণাকুণ্ডুর বিভিন্ন এলাকায় কৃষকেরা বলছেন, স্বল্প খরচে এই শিম চাষ করে তারা উল্লেখযোগ্য লাভবান হচ্ছেন। কৃষক আরিফ হোসেনের ভাষায়, “আমার খরচ হয়েছে মাত্র ১৫-২০ হাজার টাকা। কিন্তু বিক্রি করেছি ২০ হাজার টাকার শিম। ক্ষেতের বাকি ফসল বিক্রি করে আরও ৬০-৮০ হাজার টাকা আয় হবে।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাফিজ হাসান জানান, কৃষকেরা আগাম জাতের শিম চাষে ব্যাপক আগ্রহী হয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে নিয়মিত কৃষিবিষয়ক পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা কম খরচে বেশি লাভ করতে পারেন।
প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের শিম চাষ হচ্ছে হরিণাকুণ্ডুতে। কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এই শিমের উৎপাদন আরও বাড়বে। ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও শিম সরবরাহ করা যাবে।
আগাম শিমের এই সাফল্য কৃষকদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
মতামত দিন