অর্থনীতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে পাঁচপীর-চিলমারী সেতু
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটেছে তিস্তা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ১১ আগস্ট জানিয়েছে, ২০ আগস্ট বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি উদ্বোধন করা হবে। মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া উদ্বোধন করবেন।নামকরণ করা হয়েছে পাঁচপীর-চিলমারী সেতু হিসেবে। সেতুর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪৯০ মিটার। মূল সেতু, সংযোগ সড়ক, লাইটিং ও শোভা-বর্ধনের সব কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অন্যান্য কারণে পূর্বনির্ধারিত উদ্বোধন মুলতুবি থাকলেও এবার জনসাধারণের জন্য এটি উন্মুক্ত হচ্ছে।
উদ্বোধনের পর সেতুর মাধ্যমে কুড়িগ্রামের উলিপুর, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ী, রাজারহাট, কুড়িগ্রাম সদর ও চিলমারী থেকে ঢাকার দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার কমে যাবে। এছাড়াও চিলমারী থেকে রংপুরের দূরত্ব প্রায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার, গাইবান্ধা জেলা শহরের দূরত্ব প্রায় ৩৫-৪০ কিলোমিটার কমে আসবে। সেতুর ব্যবহার শুরু হলে রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগের সময়ও প্রায় দুই ঘণ্টা সাশ্রয় হবে, পাশাপাশি জ্বালানি তেলও বাঁচবে।
সেতু গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্যাপুর, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর এবং কুড়িগ্রামের চিলমারী, উলিপুর, রাজারহাট, ফুলবাড়ী, ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী ও কচাকাটার অর্থনীতির চাকা সচল করবে। কৃষকরা উৎপাদিত পণ্য দ্রুত রাজধানী ও অন্যান্য স্থানে পৌঁছে দিতে পারবেন। এই সেতু দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষের জন্য রুজি-রোজগারের পথ প্রশস্ত করবে।
প্রকল্পটি ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি শুরু হয়। মোট বরাদ্দ ৮৮৫ কোটি টাকা। উভয় পাশে ৮৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭৬ কিলোমিটার গাইবান্ধা ও ১০ কিলোমিটার কুড়িগ্রামে। নদীভাঙন রোধে দুই তীরে ৩.৫ কিলোমিটার নদী শাসন করা হয়েছে। সংযোগ সড়কগুলোতে ৫৮টি বক্স কালভার্ট ও ৯টি আরসিসি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, সেতুর উদ্বোধন অঞ্চলের অর্থনীতি ও জীবনমান উন্নয়নের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে এবং দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান করবে।
মতামত দিন