জাতীয়

৫ আগস্ট সহ তিনটি জাতীয় দিবস ঘোষণা অন্তর্বর্তী সরকারের

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ দেশজুড়ে ছাত্র ও জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে তিনটি নতুন দিবস ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ২৫ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক পরিপত্রে এ ঘোষণা জানানো হয়। এতে বলা হয়, এই দিবসগুলো শুধু স্মরণীয় তারিখ নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বাঁক, যা গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও স্বৈরতন্ত্রবিরোধী সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি।

প্রথম ঘোষিত দিবসটি হলো ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’, যা প্রতি বছর ৫ আগস্ট পালন করা হবে। এই দিনে ছাত্র ও জনতার টানা আন্দোলনের মুখে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়। দিবসটি ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, যার মানে এই দিনে সরকারিভাবে ছুটি থাকবে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা আয়োজন করা হবে।

দ্বিতীয় দিবস হিসেবে ৮ আগস্টকে ঘোষণা করা হয়েছে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ নামে। এই দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে দেশ নতুন রাজনৈতিক যাত্রায় প্রবেশ করে। সরকার বলছে, এই দিনটি প্রতীকীভাবে বাংলাদেশের পুনর্জাগরণ, স্বচ্ছ শাসন ও গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার সূচনার দিন।

তৃতীয় দিবস হিসেবে ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে। রংপুরে চলমান আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন তরুণ ছাত্র আবু সাঈদ। তার আত্মত্যাগকে স্মরণ করে এই দিবস পালন করা হবে ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে।

সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই দিবসগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ আলোচনাসভা, রচনা প্রতিযোগিতা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মতো কর্মসূচি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই নতুন দিবসগুলো দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনা জাগ্রত করতে এ উদ্যোগ কার্যকর হবে। তাঁদের মতে, ইতিহাসে জনগণের ভূমিকা, ছাত্র সমাজের আত্মত্যাগ এবং আন্দোলনের বিজয় তুলে ধরার মাধ্যমে একটি নতুন রাষ্ট্রচিন্তার ভিত্তি গড়ে উঠতে পারে।

মতামত দিন