জাতীয়

৫ আগস্টের পরদিনই নতুন বাংলাদেশের সূচনা

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ ৫ আগস্টের ‘বিজয় দিবস’-এর পরপরই রাজধানীসহ সারাদেশে শুরু হয় এক উত্তপ্ত পরিস্থিতি। আন্দোলনকারীদের ঘৃণা আর ক্ষোভ যেন সীমা ছাড়িয়ে যায়। বহুদিনের নিপীড়ন, পুলিশি জুলুম আর রাজনৈতিক দমননীতির প্রতিশোধ নিতে বিক্ষুব্ধ জনতা ঝাঁপিয়ে পড়ে সরকারের প্রতীকী স্থাপনাগুলোর ওপর।

নয়াপল্টনের বিজয় উদযাপনের রেশ না কাটতেই খবর আসে—যাত্রাবাড়ি থানায় আগুন, পুলিশ সদস্য নিহত। এরপর একে একে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় আগুন দেওয়া হয়। বাড্ডা এলাকায় পুরোটা রাত ধরে চলে রণক্ষেত্রসদৃশ অবস্থা। থানার ভেতরের ফাইলপত্র, ডকুমেন্টস পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এই সময়ের মধ্যে পুলিশ বাহিনীর কোনো দৃশ্যমান প্রতিরোধ ছিল না। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। সুধাসদনে ব্যাপক ভাঙচুর হয়। ধানমণ্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় হামলা চালানো হয় এবং সেখানেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে কারাগারে। যশোর ও শেরপুরে কারাগারে হামলা চালিয়ে প্রায় ১১০০ বন্দিকে মুক্ত করে দেয় জনতা। একদিকে পুলিশের অনুপস্থিতি, অন্যদিকে দীর্ঘদিনের দুঃসহ অভিজ্ঞতা—দুটো মিলিয়ে পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এই অরাজক পরিস্থিতি কাদের নিয়ন্ত্রণে, কারা এর নেপথ্যে। তবে স্পষ্ট, এই বিক্ষোভ ছিল একপ্রকার ‘সামাজিক বিস্ফোরণ’, যেখানে নির্যাতিত জনগণ প্রতিশোধের ভাষা খুঁজে পেয়েছে আগুন ও ধ্বংসের মাধ্যমে।

মতামত দিন