জাতীয়

২৮ দিনে ৩১ হাজার কোটি! প্রবাসীদের রেমিট্যান্স রেকর্ড

ডেস্ক রিপাের্ট ॥ চলতি বছরের জুন মাসে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ আশাব্যঞ্জক মাত্রায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, জুনের প্রথম ২৮ দিনে প্রবাসীরা মোট ২৫৩ কোটি ৯২ লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকারও বেশি। দীর্ঘদিন ধরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ থাকলেও এই রেমিট্যান্স প্রবাহ নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে।

প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, প্রেরিত রেমিট্যান্সের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৬ কোটি ১২ লাখ ডলার এবং সবচেয়ে বেশি অর্থ এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে—১৬১ কোটি ৬১ লাখ ডলার। বিশ্লেষকদের মতে, ব্যাংকগুলোর উদ্ভাবনী কার্যক্রম, রেমিট্যান্স উৎসাহমূলক প্রকল্প এবং সরকারের প্রণোদনানীতিই এই প্রবাহ বৃদ্ধির অন্যতম চালিকা শক্তি।

এর আগে মার্চ মাসে এক মাসে সর্বোচ্চ ৩৩০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এরপর মে মাসে এসেছে ২৯৭ কোটি ডলার এবং এপ্রিলেও দেখা গেছে শক্তিশালী প্রবাহ, যা ছিল ২৭৫ কোটি ডলার। ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। বিশেষ করে যখন আমদানি ব্যয় এবং বৈদেশিক দেনার চাপ বেড়েছে, তখন এই রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিকে কিছুটা হলেও ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই প্রবণতা ধরে রাখতে হলে প্রবাসীদের জন্য ব্যাংকিং সেবা আরও সহজ এবং দ্রুত করতে হবে। একই সঙ্গে হুন্ডির মতো অবৈধ রেমিট্যান্স চ্যানেলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কারণ, এই অবৈধ পন্থাই এখনো অনেক প্রবাসীকে বৈধ পথে টাকা পাঠানো থেকে বিরত রাখে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে আরও কার্যকর কৌশল গ্রহণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে নতুন নতুন ডিজিটাল সেবা চালুর মাধ্যমে প্রবাসীদের আস্থা অর্জনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এসব পদক্ষেপ অব্যাহত থাকলে আগামী মাসগুলোতে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

মতামত দিন