জাতীয়

রোহিঙ্গা রক্ষায় সাত দফা প্রস্তাব দিলেন ড. ইউনূস

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান জাতিগত নিধন বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জরুরি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কক্সবাজারে আয়োজিত তিন দিনের অংশীজন সংলাপের মূল অধিবেশনে তিনি সাত দফা প্রস্তাবনা উপস্থাপন করে দ্রুত রোডম্যাপ তৈরির তাগিদ দেন।

ড. ইউনূস বলেন, ২০১৭ সাল থেকে সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ মানবিক কারণে লাখো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু তাদের নিরাপত্তা, মানবিক মর্যাদা ও নিজ দেশে টেকসই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি স্পষ্ট করে জানান, “সশস্ত্র ঘাতকদের থামানো ছাড়া জাতিগত নিধন রোধ সম্ভব নয়।”

তার সাত দফা প্রস্তাবনার মধ্যে প্রধান হলো—রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য জরুরি রোডম্যাপ প্রণয়ন। দ্বিতীয়ত, জীবনরক্ষাকারী কার্যক্রম বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক দাতাদের প্রতিশ্রুত অর্থায়ন অব্যাহত রাখা। তৃতীয় প্রস্তাবে তিনি রোহিঙ্গাদের ওপর সকল প্রকার নিপীড়ন বন্ধ এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতদের ঘরে ফেরানোর আহ্বান জানান।

চতুর্থ প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি স্থায়ী প্ল্যাটফর্ম তৈরির ওপর জোর দেন তিনি। পঞ্চমত, আসিয়ানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান করা হয়। ষষ্ঠ প্রস্তাবে জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সপ্তম প্রস্তাবে তিনি আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার কথা স্পষ্ট করেন।

এ সময় ড. ইউনূস নির্বাচনের প্রসঙ্গেও বক্তব্য দেন। তিনি জানান, দেশ এখন স্থিতিশীল এবং নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আশা, নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে এবং সমস্যার স্থায়ী সমাধান বেরিয়ে আসবে।

মতামত দিন