ভারতের স্থলপথে পণ্য আমদানি সীমিতকরণে উদ্বেগ, প্রস্তুত বাংলাদেশ
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টসসহ পণ্য আমদানিতে ভারতের কিছু স্থলবন্দর সীমাবদ্ধ করার সম্ভাব্য পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া উদ্বেগ প্রসঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি।বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন রোববার (১৮ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এখনো অফিসিয়ালি কিছু জানি না। তবে কিছু সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ও খবরের মাধ্যমে জানতে পারছি যে আখাউড়া ও ডাউকি স্থলবন্দরে সীমাবদ্ধতা আনা হয়েছে।”
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বিষয়টি বিশ্লেষণ করছে। আমরা এখনো নিশ্চিত না, তবে দ্রুতই অফিসিয়াল তথ্য পাওয়ার আশা করছি।”
উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের বন্দরগুলো সক্রিয় আছে। যেসব স্থলবন্দরে সীমাবদ্ধতা এসেছে, তা এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। সেখানে ৯০ শতাংশ বাণিজ্য ব্যাহত হয়নি বলেই মনে করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এখনো রিপোর্ট হাতে পাইনি। আপনারা যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছেন, আমিও সেভাবেই দেখেছি। তবে সরকার আনুষ্ঠানিক সূত্রে তথ্য পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।”
এ ধরনের পদক্ষেপে গার্মেন্টস, আসবাবপত্র ও ফলের জুসের মতো পণ্য সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হতে পারে। তবে শেখ বশির উদ্দীনের মতে, “আমাদের সক্ষমতা ও প্রতিযোগিতার শক্তির কারণেই ভারত আমাদের কাছ থেকে পণ্য নেয়।”
ট্রান্সশিপমেন্ট ইস্যুতে তিনি বলেন, “সেই সিদ্ধান্তে আমাদের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। নিজেদের সক্ষমতা দিয়েই আমরা পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি।”
আলোচনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যদি প্রয়োজন হয়, ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনায় যাবো। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।”
তিনি বলেন, “বাণিজ্য আমার দায়িত্ব, আমি এটাতেই সীমাবদ্ধ থাকতে চাই। আমি উদার বাণিজ্যে বিশ্বাস করি। ব্যবসা ও ভোক্তার সক্ষমতা বাড়ানোই আমার লক্ষ্য।”
মতামত দিন