জাতীয়

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার বন্ধন শক্তিশালী হবে বললেন ইউনূস

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়া ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণের পর বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি জানান, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজন করা হবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে এবং গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করা হবে।

ড. ইউনূস বলেন, সামাজিক ব্যবসা প্রসারে এই সম্মাননা তার জন্য তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, গত বছর বাংলাদেশের বহু তরুণ একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীরা উন্নত ভবিষ্যতের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে, যেখানে প্রত্যেকে মর্যাদার সঙ্গে বাঁচবে।

তিনি নতুন বাংলাদেশের লক্ষ্য তুলে ধরে বলেন, দেশ হবে ন্যায়সংগত, অর্থনীতি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রত্যেকে সমান সুযোগ পাবে। সংস্কার, উদ্যোক্তাদের সহায়তা, শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনাই সরকারের লক্ষ্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, তারা আগামী দিনের নির্মাতা। তাদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন এবং দায়িত্ববোধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে। তিনি বলেন, প্রকৃত সাফল্য অর্জনের জন্য নিজের পাশাপাশি অন্যদেরও উন্নতির পথে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

ড. ইউনূস বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার দীর্ঘমেয়াদী বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, দুই দেশের অংশীদারিত্ব বাণিজ্য, শিক্ষা, উদ্ভাবন ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বিস্তৃত করেছে। তিনি জানান, সেমিকন্ডাক্টর শিল্প, হালাল অর্থনীতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও উদ্যোক্তা উন্নয়নের মাধ্যমে দুই দেশের যৌথ ভবিষ্যৎ আরও সমৃদ্ধ, উদ্ভাবনী, স্থিতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।

সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করায় মালয়েশিয়া ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দুই দেশের বন্ধন আরও দৃঢ় করার জন্য আমরা কাজ চালিয়ে যাব।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ও ইউকেএম-এর ভাইস-চ্যান্সেলর।

মতামত দিন