নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ: নাশকতা রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার পর, সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি ও নাশকতার আশঙ্কায় দেশে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আশঙ্কা করছে, দলটি আত্মগোপনে থেকে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রধান শহরগুলোতে নাশকতার পরিকল্পনার ইঙ্গিত পাওয়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে।পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেশব্যাপী রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং জেলা পুলিশ সুপারদের কঠোর নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কোনো সদস্যকে দেখামাত্র গ্রেফতার করতে হবে। যারা সম্প্রতি দলে সক্রিয় ছিলেন বা দল পুনর্গঠনের চেষ্টা করছিলেন, তাদের চিহ্নিত করে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠনটির যেকোনো তৎপরতা কঠোরভাবে দমন করা হবে। পুলিশের কেউ যদি এ বিষয়ে নমনীয়তা দেখায়, তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।”
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এসএন নজরুল ইসলাম জানান, ছাত্রলীগসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো কোনোভাবেই প্রকাশ্যে বা গোপনে সংগঠিত হতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠপর্যায়ে কড়া অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি সাইবার নজরদারির মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও কঠোর পর্যবেক্ষণ চলছে।
গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম জানান, “ঝটিকা মিছিল, ফেসবুক লাইভ, ইউটিউব প্রচারসহ নানা উপায়ে গোপন তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এরই মধ্যে কিছু নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে, এবং তালিকাভুক্তদের ধরতে অভিযান জোরদার করা হয়েছে।”
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, গণহত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারে প্রতিদিন অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করা হচ্ছে। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে।
এই অবস্থায় রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বাড়লেও সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা আস্থা ফিরে এসেছে। তবে দীর্ঘমেয়াদে এই পরিস্থিতি কী রূপ নেবে, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে।
মতামত দিন