নির্বাচনের জন্য যত অর্থের প্রয়োজন দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়
নির্বাচনের জন্য যত অর্থের প্রয়োজন দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও বিভিন্ন দেশীয় চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাংলাদেশ সরকার ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সকল ব্যয় বহনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের জন্য যত অর্থের প্রয়োজন হবে, তা দেওয়া হবে।
বুধবার (৬ আগস্ট) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এই ঘোষণা দেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচনের ব্যয় সরকার বহন করবে। নির্বাচন একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়া, এটি স্থগিত রাখার সুযোগ নেই। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি রয়েছে। বাজেটে নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।”
তাঁর মতে, দেশের অর্থনীতি এক বছরের মধ্যে খাদের কিনারা থেকে অনেকটা উপরে উঠেছে। এই উন্নতি দৃশ্যমান না হলেও বাস্তবে অনেক অর্জন হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা ও মূল্যস্ফীতির চাপের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন বড় চ্যালেঞ্জ হলেও সরকার এতে পিছিয়ে নেই। এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে, কর্মসংস্থান ও বাণিজ্য পুনরুজ্জীবনে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একদিকে নির্বাচন, অন্যদিকে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা—দুই-ই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা উভয় ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জনে চেষ্টা করছি।”
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক কমানো প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “যেটা হয়েছে, সেটা মোটামুটি। স্বস্তির জায়গা না হলেও আমাদের জন্য খুব খারাপ কিছু হয়নি। বাংলাদেশের পোশাক ও নিট পোশাক খাত দ্রুতই নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেবে।”
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য দর-কষাকষি, পুঁজিবাজারে সংস্কার, ব্যাংক রেজল্যুশন, এনবিআরের অধ্যাদেশ সংশোধনসহ একাধিক দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানান তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “চুক্তি এখনও হয়নি, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা চলছে। আমাদের বস্ত্র খাতের কিছু সমস্যা আছে, তবে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে অনেক কিছু বলা যায় না। ভিয়েতনাম, ভারত, চীন—এদের সঙ্গে তুলনা করেই আমাদের এগোতে হচ্ছে।”
সরকারি পর্যায়ের এই নিশ্চয়তা রাজনৈতিক অঙ্গনে স্থিতিশীলতা ও আস্থার বার্তা দেবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
মতামত দিন