নির্বাচনই প্রধান কাজ, দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায়ের যাত্রা শুরু হয়েছে আজ থেকে। এর প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজন করা। এ উপলক্ষে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়েছে এবং ফেব্রুয়ারির রোজার আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, সরকারের তিনটি মূল এজেন্ডা—নির্বাচন, সংস্কার এবং ট্রায়াল। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং আনসার বাহিনী কতজন নিয়োজিত হতে পারে, তা নিয়ে বৈঠক চলছে। ৮ লাখ সদস্য মোতায়েনের প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে।
আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে যতদিন পর্যন্ত না তাদের নেতাদের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব একমাত্র নির্বাচন কমিশনের।
লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরির বিষয়ে তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী সকল দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরির চেষ্টা চলছে। প্রধান উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ এবং কেউ অভিযোগ করার সুযোগ পাবে না।
এদিকে এসপি ও ওসিদের লটারির মাধ্যমে বদলির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, যাতে নির্বাচনের সময় প্রশাসনিক পক্ষপাতের অভিযোগ না ওঠে। ডিসিদের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও তা শিগগিরই জানানো হবে।
বৈঠকে এও জানানো হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ অব্যাহত আছে এবং অধিকাংশ দল সরকারের প্রস্তাবিত নির্বাচনী সময়সূচিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে।
মতামত দিন