নাগরিকত্ব বিতর্কে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ রোহিঙ্গা সংকট এবং চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত ঘিরে দেশজুড়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে রাখাইনে মানবিক করিডর প্রতিষ্ঠা ও বন্দর পরিচালনায় বিদেশি হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা সামনে আসার পর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান-এর ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে।বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে তার নাগরিকত্ব। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ শনিবার খুলনার এক জনসভায় সরাসরি তার নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি দাবি করেন, “একজন বিদেশিকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা পদে বসিয়ে সরকার দেশের স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলেছে।” এসময় তিনি খলিলুর রহমানকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান জানান।
সালাহউদ্দিনের অভিযোগ অনুযায়ী, “এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করা এবং আঞ্চলিক সংঘাতে জড়ানো হচ্ছে।” তিনি বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় এই ধরনের সিদ্ধান্ত জনগণের ওপর চাপ তৈরি করবে।”
এই অভিযোগের জবাবে ড. খলিলুর রহমান স্পষ্ট ভাষায় জানান, তিনি একজন বাংলাদেশি নাগরিক এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি বলেন, “আমার নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা নিতান্তই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কোনো অভিযোগ থাকলে সেটি প্রমাণ করার দায়িত্ব অভিযোগকারীর।” প্রয়োজনে তিনি আদালতের সামনে গিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে প্রস্তুত বলেও জানান।
ড. খলিলুর আরও বলেন, “যারা এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে, তারা প্রকৃতপক্ষে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।” তার মতে, এটি রাজনৈতিক বিভাজন বাড়ানোর একটি অপচেষ্টা।
সরকারি সূত্র থেকে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না এলেও, বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোড়ন তুলেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জাতীয় নিরাপত্তার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে এ ধরনের বিতর্ক ভবিষ্যতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়াতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিতর্ককে দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে নিষ্পত্তি করা জরুরি, নতুবা জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে, যা সরকারের জন্যও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
মতামত দিন