জাতীয়

দুদকের নজরে এনবিআরের দুর্নীতিবাজ শীর্ষ কর্মকর্তারা

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শীর্ষ ১৭ কর্মকর্তার জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানে মাঠে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(১) ধারা এবং ২০০৭ সালের বিধিমালা অনুসারে এসব কর্মকর্তাকে সম্পদ ও দায়-দেনার বিবরণী জমা দিতে হবে। এর জন্য নির্ধারিত ফরমে বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে তাদের কাছে চিঠি পাঠানো হবে।

সম্পদ বিবরণী চাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন কর কমিশনার, আপিল ট্রাইব্যুনালের কমিশনার, আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট, ভ্যাট গোয়েন্দা বিভাগ, কর অ্যাকাডেমি ও কাস্টমসসহ বিভিন্ন দফতরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। দুদক সূত্রে জানা গেছে, এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গত জুলাই মাসেই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা ঘুষের বিনিময়ে কর ও শুল্ক ফাঁকির সুযোগ দিয়েছেন, ফলে প্রতিবছর সরকার বিপুল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, কিছু কর্মকর্তা ঘুষ আদায় করতে না পেরে কর ফাঁকির মিথ্যা মামলা করে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করেছেন। আবার যারা বেশি কর দিয়েছেন, তারা ফেরত পেতে বাধ্য হয়েছেন ঘুষ দিতে। এর ফলে একদিকে সাধারণ করদাতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, অন্যদিকে কর্মকর্তারা বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।

দুদক জানায়, দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বে থেকে কিছু কর্মকর্তা স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে সম্পদ গড়েছেন। তাই এবার সরাসরি তাদের সম্পদ যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সরকার এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি নতুন বিভাগ গঠন করেছে। এ নিয়ে আন্দোলন করেন এনবিআরের একাংশের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আন্দোলন শেষ হলেও সরকারের নজরদারির আওতায় আসেন অনেকেই। দুদক বলছে, শুধু কয়েকজন নয়, বরং এই প্রক্রিয়া পুরো এনবিআরের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

মতামত দিন