জাতীয়

ডাকসু নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের পরীক্ষামূলক মডেল: প্রেস সচিব

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হতে পারে, তার একটি বড় পরীক্ষা ছিল ডাকসু নির্বাচন—এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ: সফল নির্বাচন আয়োজনে সরকার, রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল আলম বলেন, “ডাকসু নির্বাচনে রাজনৈতিক দল, শিক্ষার্থী ও সুধী সমাজ ভালোভাবে উত্তরণ করেছেন। কোনো আইনশৃঙ্খলাজনিত ঘটনা ঘটেনি। এটি নির্বাচনী সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, যা জাতীয় নির্বাচনেও প্রভাব ফেলতে পারে।”

তিনি আরও জানান, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকার প্রতিদিন বৈঠক করছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বারবার বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৮ লাখ সদস্য মাঠে থাকবে। তবে নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের সদিচ্ছাও সমানভাবে জরুরি।

প্রেস সচিব বলেন, “যদি জনগণ বানের জলের তোড়ের মতো ভোট দিতে যায়, তবে কেউ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না। তাই সবার দায়িত্ব নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখা এবং ভোটারদের ভোট দিতে উৎসাহিত করা।”

সরকারের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, “অনেকে বলছেন সরকার কিছুই করেনি। তারা আবেগপ্রবণ হয়ে বলছেন। বাস্তবে সরকারের কার্যক্রম মূল্যায়ন করতে হলে সব পরিসংখ্যান ও তথ্য বিবেচনা করতে হবে।”

এসময় তিনি উল্লেখ করেন, বিপ্লব-পরবর্তী অনেক দেশে অস্থিরতা তৈরি হলেও বাংলাদেশে তা হয়নি। এটিই সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য।

ইউটিউবে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর প্রসঙ্গ টেনে শফিকুল আলম বলেন, বর্তমান প্রজন্ম সংবাদপত্র নয় বরং ইউটিউব থেকে তথ্য নিচ্ছে। সেখানে অনেক ভুয়া তথ্য নিয়মিত প্রচারিত হচ্ছে, যা ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে। তবে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিলে সরকারকে ‘মুক্ত গণমাধ্যমের বিরোধী’ হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়।

মতামত দিন