জাতীয়

জাপান যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা, কৌশলগত বন্ধুত্বের ইঙ্গিত

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ চার দিনের সরকারি সফরে আগামী ২৭ মে দিবাগত রাতে জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা করছে উভয় দেশ। সফরের অংশ হিসেবে ৭টি সমঝোতা স্মারক সই হবে, যা ভবিষ্যতে দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করবে।

সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী। তিনি জানান, ড. ইউনূস জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিতব্য নিক্কেই ফোরামের ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে অংশ নেবেন। সেখানে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেবেন, যা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিতে পারে।

সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে যাচ্ছে ৩০ মে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে ড. ইউনূসের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। এই বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, প্রযুক্তি স্থানান্তর, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে জাপানের অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাপানের কাছে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজেট সহায়তা চাওয়া হবে বলেও নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

এছাড়া বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় যৌথ কর্মসূচি, জাপানে বাংলাদেশি কর্মীদের কাজের সুযোগ বৃদ্ধি এবং দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সম্ভাব্য রূপরেখা নিয়েও আলোচনা হতে পারে।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সফর শুধু আর্থিক সহায়তা বা বাণিজ্যিক সম্পর্ক নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত অংশীদারিত্ব গঠনের ভিত্তি স্থাপন করতে পারে। জাপান ইতিপূর্বে বাংলাদেশের অবকাঠামো, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যখাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।

প্রধান উপদেষ্টার এই সফর দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে।

ড. ইউনূসের সফর ৩১ মে শেষ হবে এবং তিনি সেদিনই দেশে ফিরে আসবেন। এ সফরের সফল বাস্তবায়ন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন।

মতামত দিন