জাতীয়

একদিনের বিরতিতে সচিবালয়ে ফিরল সচলতা

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একদিনের জন্য তাদের কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার সচিবালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকের পর আন্দোলনকারীরা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান।

আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার আশ্বাস পাওয়ায় আপাতত আগামী বুধবারের কর্মসূচি স্থগিত রাখা হচ্ছে। এর ফলে বুধবার সচিবালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই পরিচালিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বৈঠকে আন্দোলনকারীরা তাঁদের দাবি ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবরা তাঁদের বক্তব্য গুরুত্বসহকারে শোনেন এবং আশ্বাস দেন যে, এসব দাবি দ্রুত সরকারের উচ্চপর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হবে। বিশেষ করে, আন্দোলনকারীদের উত্থাপিত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে তা মন্ত্রীপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশিদের নিকট উপস্থাপন করা হবে বলেও জানানো হয়।

এই বৈঠককে ঘিরে সরকারি দপ্তরগুলোতে আশাবাদের বাতাস বইছে। অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী মনে করছেন, এই আলোচনার মধ্য দিয়ে সংকটের একটি ইতিবাচক সমাধানের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করেন, সরকার আন্তরিক হলে এই সমস্যার একটি টেকসই সমাধান বের করা সম্ভব।

তবে আন্দোলনকারীরা তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছেন। তারা জানিয়ে দিয়েছেন, দাবি পূরণ না হলে তারা আবারও কর্মসূচি শুরু করতে বাধ্য হবেন। এজন্য আগামী সপ্তাহে পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণে আরেক দফা বৈঠকে বসার পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে দেশের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিগত কিছুদিন ধরে কর্মবিরতি, অবস্থান ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এর ফলে সচিবালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়।

সাম্প্রতিক আলোচনার মাধ্যমে আন্দোলনরত কর্মচারী এবং প্রশাসনের মধ্যে একটি সমঝোতার সূচনা হয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তবে এটি স্থায়ী সমাধানে পরিণত হবে কিনা, তা নির্ভর করছে সরকারের আন্তরিকতা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর।

মতামত দিন