ঈদ জামাতে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ডিএমপির
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বিশেষ করে জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানান, ঈদের দিন রাতের বেলায় ৫০০টি এবং দিনে ২৫০টি পেট্রোল টিম রাজধানীজুড়ে কাজ করবে। শহর তুলনামূলকভাবে ফাঁকা হলেও কোনো ধরনের গাফিলতির সুযোগ রাখা হবে না।জাতীয় ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে কমিশনার জানান, সকাল সাড়ে ৭টায় সেখানে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করবেন। জামাতে প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী-উপদেষ্টা এবং কূটনীতিকদের অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে পুরুষদের জন্য ৪টি এবং নারীদের জন্য ১টি আলাদা প্রবেশ গেইট নির্ধারণ করা হয়েছে।
আবহাওয়া প্রতিকূল হলে জাতীয় ঈদগাহের প্রধান জামাত স্থানান্তরিত হয়ে বায়তুল মোকাররমে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। বায়তুল মোকাররমে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে, যার প্রথমটি সকাল ৭টায়। রাজধানীজুড়ে আরও ১১৮টি ঈদগাহ ও ১৬২১টি মসজিদে জামাত হবে। শিয়া, কাদিয়ানি ও সৌদি অনুসারীদের জন্য ১১টি জামাতও অনুষ্ঠিত হবে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রয়েছে সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও ম্যানুয়াল তল্লাশি ব্যবস্থা। ঈদগাহ এলাকার তিনটি প্রধান প্রবেশপথে বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। স্থাপন করা হয়েছে অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম, যেখান থেকে মনিটরিং হবে সার্বক্ষণিক। নারীদের নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে আলাদা প্রবেশপথ ও নারী পুলিশ সদস্য।
সংশ্লিষ্ট এলাকায় ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডিবি ও সিটিটিসি সদস্যরা মাঠে থাকবে। নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার এবং অন্যান্য বাহিনীর সমন্বয় ব্যবস্থা। জাতীয় মসজিদসহ অন্যান্য জামাতস্থলেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার নগরবাসীকে তল্লাশিতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেউ যেন ব্যাগ, দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে জামাতে না আসে। সন্দেহজনক কিছু দেখলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ জানান তিনি। একই সঙ্গে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষার দিকেও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন।
মতামত দিন