আকাশপথে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের পুনঃসংযোগ, ফ্লাইট অনুমোদন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ ঢাকা-করাচি রুটে এয়ার সিয়াল ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে, আকাশপথে নতুন সম্ভাবনাবাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বহুদিন পর আবারও সরাসরি আকাশপথে যাত্রী পরিবহনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এবার ঢাকা-করাচি রুটে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে পাকিস্তানের বেসরকারি বিমান সংস্থা এয়ার সিয়াল। বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) থেকে প্রতিষ্ঠানটি এই অনুমোদন পেয়েছে বলে জানা গেছে।
বেবিচক সূত্রে জানা যায়, অনুমোদন পাওয়ার পর এয়ার সিয়াল এখন বাংলাদেশে তাদের জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) নিয়োগের কাজ শুরু করবে। এরপর নির্ধারিত ফ্লাইট স্লট চেয়ে আনুষ্ঠানিক আবেদন করবে সংস্থাটি। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে খুব শিগগিরই ঢাকা-করাচি রুটে তাদের ফ্লাইট চালু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
এয়ার সিয়ালের মাধ্যমে বাংলাদেশি যাত্রীরা করাচি ছাড়াও ট্রানজিট নিয়ে পাকিস্তানের অন্যান্য শহর ও মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন গন্তব্যে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। এতে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য একটি নতুন রুট ও সাশ্রয়ী ভ্রমণের বিকল্প পথ উন্মুক্ত হবে।
এর আগে ‘ফ্লাই জিন্নাহ’ নামক আরেকটি পাকিস্তানি বিমান সংস্থা বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেলেও এখনও কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।
উল্লেখযোগ্য যে, সর্বশেষ পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস (পিআইএ) ঢাকা-করাচি রুটে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করত। কিন্তু যাত্রীসংখ্যা হ্রাস ও আর্থিক ক্ষতির কারণ দেখিয়ে ২০১৮ সালে তারা এই রুট বন্ধ করে দেয়। তবে এর পেছনে আরও একটি বিতর্কিত কারণ ছিল। ২০১৫ সালে পিআইএর ঢাকা স্টেশনের ব্যবস্থাপক আলী আব্বাসকে জাল মুদ্রা চোরাচালানের অভিযোগে আটক করে বাংলাদেশ পুলিশ, যা উভয় দেশের মধ্যে বিমান যোগাযোগে ছায়া ফেলে।
২০১৫ সালের আগস্টে যাত্রা শুরু করা এয়ার সিয়াল পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রুটে সফলভাবে ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে। এবার তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রেখে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের চেষ্টা করছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুই দেশের মধ্যে পুনরায় সরাসরি আকাশপথ চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সংযোগ ব্যবস্থায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হতে পারে।
মতামত দিন