আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সরকার
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দেশের রাজনীতিতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষের একাংশ এই দাবিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী শাসন, দমন-পীড়ন এবং সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে। জনগণের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার কথা জানিয়েছে।সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিটি আমলে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে এবং দ্রুত একটি সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের জনগণের দাবি এবং সংবিধানিক দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ছাত্রলীগকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সহিংসতা, খুন, গুমসহ নানা অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে উঠছিল, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরেও ছিল।
এছাড়াও সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জড়িত অন্যান্য সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে সংশোধনী আনার উদ্যোগ নিচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হবে।
জনমনে যে ক্ষোভ বিরাজ করছে, তার অন্যতম কারণ সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশে পাড়ি দেওয়া। এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। সরকার জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে সরকার জনগণের আস্থার পুনরুদ্ধারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলে দেশের রাজনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন আসবে, তবে তারা সতর্ক করেছেন যে রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সরকার সবাইকে সংযম এবং ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছে।
মতামত দিন