জাতীয়

আওয়ামী ঘনিষ্ঠ সুফিউর হলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, তীব্র প্রতিক্রিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সুফিউর রহমানকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তিনি পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সহায়তার পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

সুফিউর রহমান তার দায়িত্বকালীন সময়ে প্রতিমন্ত্রীর সমমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। অভিজ্ঞ কূটনীতিক হিসেবে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে—তিনি জাতিসংঘে জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে প্রতিনিধি, মিয়ানমার ও অস্ট্রেলিয়ায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাকে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মনে করা হয়।

এই নিয়োগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশ্লেষক সৈয়দ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে প্রশ্ন তোলেন—এই নিয়োগে কৃতিত্বের মানদণ্ড কী ছিল, তা কেন পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়নি? তিনি দাবি করেন, সুফিউর রহমান অতীতে হাসিনা সরকারের পক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো ডিফেন্ড করতেন।

একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, “একজন নির্দিষ্ট সরকারের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা কীভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের আওতায় এত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান?” তার মতে, এটি আগের সরকারের কর্মকর্তাদের ‘পুনর্বাসনের’ একটি উদাহরণ।

আলজাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের আরও একধাপ এগিয়ে অভিযোগ তোলেন—সুফিউর রহমানকে পুরস্কারস্বরূপ অবসরের পরও বাড়তি সময় দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি ‘সিস্টেমেটিক’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোকে গোপন করতে ভূমিকা রেখেছেন।

অন্যদিকে, সমর্থকরা বলছেন, এই নিয়োগ পুরোপুরি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে হয়েছে। তাদের মতে, সুফিউর রহমানের দীর্ঘ কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা ও আন্তর্জাতিক সংযোগ সরকারকে বৈশ্বিক মঞ্চে আরও কার্যকরভাবে প্রতিনিধিত্বে সাহায্য করবে।

এই নিয়োগ সরকার পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাখ্যা না দিলেও, এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, তার একটি ইঙ্গিত দিয়েছে।

মতামত দিন