জাতীয়

অসুস্থতার অজুহাত দিয়েও মেলেনি জামিন, কারাগারে সাবেক প্রধান বিচারপতি

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত। অভিযোগে বলা হয়েছে, বিচারপতি থাকাকালে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাজউকের ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন এবং বিশেষ সুবিধায় বকেয়া পরিশোধে দীর্ঘ সময় নিয়েছেন, ফলে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

৮১ বছর বয়সী খায়রুল হক আদালতে বলেন, “আমি কখনোই অবৈধ সুবিধাভোগী হইনি। অবসরের পর সব টাকা পরিশোধ করেছি। প্লটের আবেদন করেছিলাম নিয়ম অনুযায়ী। আমার অসুস্থতা ও বয়সের বিষয়টি বিবেচনা করা হোক।” তিনি দাবি করেন, জীবনে কখনও অর্থকে প্রাধান্য দেননি; এমনকি রানা প্লাজা ধস পরবর্তী আন্তর্জাতিক কমিশনে কাজ করেও কোনো বেতন নেননি।

তবে আদালত তার যুক্তি আমলে না নিয়ে জামিন আবেদন নাকচ করেন এবং তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গ্রেপ্তারের পর তাকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। মামলায় রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান ও অন্যান্য কর্মকর্তাদেরও আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকের মতে, এটি প্রমাণ করে যে আইনের চোখে কেউই দায়মুক্ত নন।

মতামত দিন