আন্তর্জাতিক

সৌদি আরবের অস্ত্র জাহাজ যাচ্ছিল ইসরায়েল, জেনোয়ায় আটক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ ইহুদিবাদী ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহের সন্দেহে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা সৌদি আরবের একটি জাহাজ ইতালির জেনোয়া বন্দরে আটক করা হয়েছে। বাহরি ইয়ানবু নামের এই জাহাজটি ৮ আগস্ট জেনোয়া বন্দরে পৌঁছায়। মূলত এই জাহাজটি অস্ত্র বোঝাই করে আবুধাবি পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু বন্দরের কর্মীরা জানতে পারেন যে জাহাজটিতে ইতোমধ্যেই অস্ত্র এবং গোলাবারুদ রয়েছে, যা ইসরাইলের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হবে।

জেনোয়ার বন্দর কর্মীরা, প্রায় ৪০ জন, জাহাজে প্রবেশ করে অস্ত্রের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন। জেনোয়ার ‘অটোনোমাস কালেক্টিভ অব পোর্ট ওয়ার্কার্স অ্যান্ড ইউনিয়ন’-এর সদস্য জোসে নিভোই বলেন, “আমরা যুদ্ধের জন্য কাজ করি না।” তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জেনোয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি স্থায়ী পর্যবেক্ষক দল গঠন করবে। উল্লেখ্য, এই অস্ত্র মেরিল্যান্ড থেকে বোঝাই করা হয়েছিল।

২০১৯ সালেও একই বন্দরে বন্দরের কর্মীরা আরেকটি অস্ত্রবাহী জাহাজ আটক করেছিল। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বন্দরকর্মীরা গাজায় ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন এবং ইসরাইলের জন্য অস্ত্র সরবরাহ বন্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এই বন্দর কর্মীরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

সম্প্রতি ফ্রান্সের ফোস-মার্সেই বন্দরের কর্মীরাও ইসরাইলের জন্য অস্ত্র বোঝাই জাহাজে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল, ফলে জাহাজটি অস্ত্র বোঝাই না করেই ফিরে যায়। এই ধরনের উদ্যোগ আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইসরাইলের বিরুদ্ধে অস্ত্র চোরাচালান রোধে সচেতনতা বাড়াবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

এই ঘটনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে এবং অস্ত্র পরিবহন ও বাণিজ্যের স্বচ্ছতা ও নৈতিকতার প্রয়োজনীয়তা পুনরায় উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা আশা করেন, ভবিষ্যতে আরও দেশ ও অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে এ ধরনের প্রতিবাদ গড়ে উঠবে, যা বিশ্ব শান্তির জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।

মতামত দিন