সীমান্তে যুদ্ধের আগুন: ভারতীয় পাঁচ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সীমান্ত উত্তেজনা নতুন মাত্রা লাভ করেছে, যা গোটা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। বুধবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, ভারতের মিসাইল হামলার পালটা জবাবে তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এসব বিমানের মধ্যে রয়েছে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ রাফাল, মিগ-২৯ এবং এসইউ-৩০ জেট। পাকিস্তান দাবি করেছে, এই বিমানগুলো তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল।ঘটনার পরপরই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের জম্মু ও কাশ্মির অঞ্চলে তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসনের চারটি সূত্র তাদের নিশ্চিত করেছে। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি, তবে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং স্থানীয় স্কুল-কলেজেও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপ জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া শাখা আইএসপিআর-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, পাকিস্তানি বিমানগুলো সফলভাবে মিশন শেষ করে নিরাপদে ফিরে এসেছে। তিনি আরও বলেন, কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এখনো প্রচণ্ড গুলিবিনিময় চলছে এবং পাকিস্তান সব ধরনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
এদিকে ভারত সরকারের নিরবতা নিয়ে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় পক্ষের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার অনুপস্থিতি হয়তো তাদের কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ, অথবা এটি বাস্তব ক্ষতির ইঙ্গিতও হতে পারে। তবে নিশ্চিত হওয়ার মতো কোনো তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।
এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা দুই দেশকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে। অনেক বিশ্লেষক বলছেন, যদি কূটনৈতিক উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে এই সংঘাত বৃহত্তর যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে এবং গোটা উপমহাদেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ইতিহাসে বহুবার উত্তেজনার শিকার হয়েছে, কিন্তু সাম্প্রতিক এই ঘটনার তাৎক্ষণিক ও গভীর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, উভয় দেশ কূটনৈতিক সমাধানের পথে হাঁটে কিনা, নাকি সামরিক উত্তেজনাই পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠে।
মতামত দিন