আন্তর্জাতিক

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় উপমহাদেশে যুদ্ধের শঙ্কা ঘনীভূত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ উপমহাদেশে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। সামরিক প্রস্তুতি, কূটনৈতিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক ইঙ্গিতের মধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমশ অস্থির হয়ে উঠছে। ৪ আগস্ট ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সতর্ক করে বলেন, পরবর্তী যুদ্ধ প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত শুরু হতে পারে এবং তা মোকাবিলায় প্রয়োজন পুরো জাতির সম্মিলিত শক্তি। তার মতে, সম্ভাব্য যুদ্ধ আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে এবং এতে অন্যান্য দেশের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।

এরই মধ্যে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে ভারতের বিরুদ্ধে কড়া পারমাণবিক হুঁশিয়ারি দেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পাকিস্তান যদি অস্তিত্ব সংকটে পড়ে, তবে তারা বিশ্বের অর্ধেককে সঙ্গে নিয়ে ধ্বংস হবে। ভারতের সিন্ধুনদীতে বাঁধ বা অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হলে তা ধ্বংস করতে দ্বিধা করবে না বলেও তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও আন্তর্জাতিক যুব দিবসে একই ধরনের বার্তা দেন। তিনি ভারতের পরিকল্পিত পানি আটকানোর প্রচেষ্টার জবাবে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেন। এতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের শঙ্কা ও মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা আরও বেড়েছে।

ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপের মুখে রয়েছেন। অনেকের মতে, এই চাপ মোকাবিলায় সামরিক উত্তেজনাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকিকে তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, পাকিস্তানের এই ধরনের হুমকি দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং এটি তাদের পুরনো অভ্যাসের পুনরাবৃত্তি। নয়াদিল্লি কখনোই পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের কাছে নতিস্বীকার করবে না।

বর্তমান পরিস্থিতি নির্দেশ করছে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সম্ভাব্য ‘বড় যুদ্ধের’ ছায়া ঘন হচ্ছে। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি এড়াতে দুই দেশকেই শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে অগ্রসর হতে হবে।

মতামত দিন